আজ শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মজিবুর রহমান (৫৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 

বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মজিবুর রহমান মারা যান। নিহত মজিবুর রহমান ফতুল্লার বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন মজিবুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মুজিবুর রহমান গুরুতর আহত হন। তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে ফতুল্লার বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকার মজিবুরের ছেলে সবুজ মোটরসাইকেল যোগে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে চরবয়রাগাদী ব্রিজের পূর্ব পাশে পৌছা মাত্র সবুজের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে মারধর করে প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন, নাসির, কবির, দেলোয়ার গংরা। পরে সংবাদ পেয়ে সবুজের বাবা মজিবুরসহ লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় গ্রুপের নারীসহ ৮/১০ গুরুতর আহত হয়। সে সময় মজিবুর রহমানের পেটে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করলে মারাত্মক জখম হয়। তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সবুজ বাদী হয়ে আবুল হোসেনকে প্রধান করে ১৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। আর আবুল হোসেনের পক্ষে আদালতের মাধ্যমে ফতুল্লা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টা মামলা দায়ের করে। মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মজিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছিল।